৪ দিনে থাইল্যান্ড - শহরের আলো, সমুদ্রের ঢেউ আর স্বপ্নের ছোঁয়া
- Sakif Ahsan
- Oct 5
- 2 min read

প্রথম দিন – ব্যাংককের ব্যস্ততায় নতুন সূচনা - ঢাকা থেকে ফ্লাইটে নামতেই ব্যাংককের গরম বাতাসে এক অদ্ভুত প্রাণচাঞ্চল্য। চারপাশে আলো, রঙ, মানুষ আর শহরের স্পন্দন। মনে হলো—একটি জীবন্ত শহরে ঢুকে পড়েছি, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে কিছু না কিছু ঘটছে।
সন্ধ্যায় গেলাম চাও ফ্রায়া নদীর ধারে, নদীর পাড়ে বসে শহরের আলোয় পানির প্রতিফলন দেখছিলাম মনে হলো, সময় যেন থেমে গেছে। নদীর ওপারে প্রাচীন মন্দিরের আলো আর আধুনিক ভবনের ছায়া, ইতিহাস আর বর্তমানের এক সুন্দর মিলন।
দ্বিতীয় দিন – পাতায়া সৈকতের হাসিখুশি দিন - সকালে গাড়িতে করে রওনা দিলাম পাতায়ার পথে। রাস্তার ধারে তালগাছ, ছোট দোকান, রঙিন মানুষ — সবকিছু যেন জীবনের আনন্দে ভরা।
পাতায়া সৈকতে পৌঁছেই সমুদ্রের বাতাসে ভিজে গেল মন। দূরে সারি সারি স্পিডবোট, রোদে ঝলমলে পানি, আর ঢেউয়ের আওয়াজে হারিয়ে যাওয়ার মতো শান্তি।
দুপুরে গেলাম কোরাল আইল্যান্ডে — সমুদ্রের নিচে রঙিন মাছ আর প্রবালের জগৎ যেন এক স্বপ্নরাজ্য।
রাতে পাতায়ার রাস্তাগুলো আলোকিত, ব্যস্ত আর উচ্ছল। ছোট ক্যাফেতে বসে থাই খাবারের গন্ধ, সংগীতের তালে মনে হলো—ভ্রমণ মানে জীবনের এক উৎসব।
তৃতীয় দিন – প্রাচীন শহর আয়ুথায়া আজকের দিনটা ইতিহাসের জন্য। ব্যাংকক থেকে কিছু দূরে প্রাচীন রাজধানী আয়ুথায়া, যেখানে রাজপ্রাসাদ, মন্দির আর ধ্বংসাবশেষে লুকিয়ে আছে শত বছরের গল্প। পাথরের ভেতরেও যেন সময় কথা বলে।
নীরব মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে মনে হলো — আমরা কতো ক্ষণস্থায়ী, অথচ সময় কত দীর্ঘ। ভ্রমণ এখানেই থেমে যায় না, বরং মনকে আরও গভীর করে তোলে।
🌺 চতুর্থ দিন – শপিং, মন্দির আর শেষ সূর্যাস্ত শেষ দিনে গেলাম ওয়াট অরুন (Temple of Dawn)—চাও ফ্রায়া নদীর তীরে সোনালি আলোয় ঝলমল করছে মন্দির। তারপর কিছু সময় কাটালাম স্থানীয় মার্কেটে—রঙিন পোশাক, হাসিখুশি বিক্রেতা আর অচেনা ঘ্রাণে ভরা বাতাস।
সন্ধ্যায় শেষ সূর্যাস্ত দেখে মনে হলো — থাইল্যান্ড কেবল ভ্রমণের জায়গা নয়, এটি অনুভব করার দেশ। এখানে শহরের হাসি, মানুষের আতিথেয়তা আর সমুদ্রের শান্তি একসাথে বেঁচে থাকে।



Comments