৩ দিনে বালি - স্বপ্ন, সমুদ্র আর আত্মার শান্তির দেশ
- Sakif Ahsan
- Oct 5
- 1 min read
প্রথম দিন – বালিতে পা রাখা, যেন অন্য এক জগতে প্রবেশ - ঢাকা থেকে দীর্ঘ ফ্লাইট শেষে যখন বিমানের জানালা দিয়ে প্রথম বালির সৈকত দেখা গেল, মনে হলো—এই জায়গাটা পৃথিবীর নয়, স্বপ্নের। বালির বাতাসে আছে এক নরম ঘ্রাণ, যেটা যেন প্রশান্তির প্রতীক।
হোটেলে পৌঁছে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে বের হলাম কুটা বিচে। সূর্যের আলোয় ঝলমলে সমুদ্র, দূরে সার্ফারদের ঢেউয়ের সঙ্গে খেলা, আর বাতাসে লবণাক্ত সুর — সব মিলিয়ে মনে হলো, এখানে সময়েরও গতি ধীর।
রাতে সৈকতের ধারে বসে নারকেলের পানিতে চুমুক দিতে দিতে আকাশের তারা গুনছিলাম। তখন বুঝলাম, বালি শুধু ভ্রমণের জায়গা নয়—এটি এক অনুভব।
দ্বিতীয় দিন – উবুদ ও ধানক্ষেতের সবুজে হারিয়ে যাওয়া সকালে রওনা দিলাম উবুদ শহরের পথে। শহর ছেড়ে পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে যেতে যেতে চারপাশে দেখা গেল অসীম সবুজ। ধানক্ষেতের সারি যেন প্রকৃতির কবিতা।
উবুদের টেগালালাং রাইস টেরেসে দাঁড়িয়ে মনে হলো—মানুষ ও প্রকৃতি একসাথে কতো সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে! বাতাসে মাটির গন্ধ, দূরে বয়ে চলা নদীর কলতান, আর পাশে ছোট্ট গ্রামীণ ক্যাফে—সব মিলিয়ে এক অপার্থিব শান্তি।
বিকেলে গেলাম উলুওয়াতু মন্দিরে, পাহাড়ের চূড়ায় সমুদ্রের ধারে। সূর্যাস্তের আলো সমুদ্রের জলে পড়তেই মনে হলো—আলো, ঢেউ আর প্রার্থনা যেন একসাথে মিশে গেছে।
তৃতীয় দিন – নুসা পেনিদা: স্বপ্নের দ্বীপের ডাক শেষ দিনে স্পিডবোটে চড়ে গেলাম নুসা পেনিদা দ্বীপে। বোটে করে সমুদ্র পাড়ি দিতে দিতে নীল পানির নিচে রোদ প্রতিফলিত হচ্ছিল—চোখ সরানো যায় না!
দ্বীপে পৌঁছে দেখলাম কেলিংকিং বিচ, যেখানে পাহাড়ের আকৃতি ডাইনোসরের মতো! নিচে সাদা বালু, সামনে অনন্ত নীল সমুদ্র। প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য দেখে মনে হলো—এটাই জীবনের আসল প্রশান্তি।
ফেরার পথে তিন দিনের এই যাত্রা শেষে মনে হলো—বালি শুধু একটি স্থান নয়, এটি এমন এক অনুভূতি যেখানে সময় থেমে থাকে। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে জীবনও নরম হয়ে যায়।









Comments