৪ দিনে চীন: ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বিস্ময়ের দেশ
- Sakif Ahsan
- Sep 29
- 1 min read

প্রথম দিন – বেইজিংয়ে আগমন - ঢাকা থেকে বেইজিং পৌঁছতেই মনে হলো—এখানে ইতিহাস জীবন্ত। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়া মাত্রই চোখে পড়ল বিশাল, ব্যস্ত শহর। বেইজিং শুধু শহর নয়, এটি একটি ইতিহাসের ভান্ডার।
সন্ধ্যায় গেলাম টিয়ানঅ্যানমেন স্কোয়ার। বিশাল চত্বরে দাঁড়িয়ে মনে হলো—মানুষের সংযোগ ও ইতিহাস একসাথে কতো বড় হতে পারে। বাতাসে ইতিহাসের গন্ধ, চারপাশে দেশের প্রতীক এবং মানুষজনের সরল ভঙ্গিমা—সব মিলিয়ে এক অন্যরকম আবেশ।
দ্বিতীয় দিন – গ্রেট ওয়াল অব চায়না - সকালে রওনা দিলাম বিশ্বের এক বিস্ময় গ্রেট ওয়াল অব চায়না-র পথে। পাহাড়ের ঢেউয়ের মতো এই দেয়াল দেখতে দেখতে মনে হলো—মানুষ কত দুর্দান্ত কিছুর সৃষ্টি করতে পারে। প্রতিটি পাথর যেন শতাব্দীর গল্প বলছে। উপরের চূড়ায় দাঁড়িয়ে চারপাশের পাহাড় দেখলে চোখ অবাক, হৃদয় আনন্দে ভরে ওঠে।
তৃতীয় দিন – শ্যাংহাই শহরের আধুনিকতা - দিনের শুরু হল শ্যাংহাই শহরে। এখানে আধুনিকতা আর ঐতিহ্য একসাথে হাঁটে। বুন্দ রিভারফ্রন্টে দাঁড়িয়ে মনে হলো—শহরও যেন সঙ্গীত শুনছে। আকাশছোঁয়া বিল্ডিং আর প্রাচীন চীনা স্থাপত্যের মিলন চোখকে আনন্দ দেয়। রাতের আলোয় শহর যেন নিজেই গল্প বলছে।
চতুর্থ দিন – গুইলিন এবং লি নদী - শেষ দিনে ভ্রমণ করলাম গুইলিনে। লি নদীর ধারে নৌকায় চড়ে পাহাড়ের মাঝে ভেসে যেতে যেতে মনে হলো—প্রকৃতি আর মানুষ এক অপরূপ সমন্বয়। নদীর শান্তি, পাহাড়ের ছায়া আর ছোট গ্রামগুলো যেন এক জীবন্ত ছবি। সূর্যাস্তের আলো নদীতে প্রতিফলিত হয়ে এক স্বপ্নময় দৃশ্য তৈরি করল।
ফেরার পথে - চার দিনের এই যাত্রা শেষে মনে হলো—চীন শুধু একটি দেশ নয়, এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির এক অবিস্মরণীয় মিলনক্ষেত্র। এখানে প্রতিটি মুহূর্ত আপনাকে শেখায়—ভ্রমণ মানে শুধু দেখা নয়, নিজের চোখে এবং হৃদয়ে অভিজ্ঞতা জমা করা।



Comments